۳ آذر ۱۴۰۳ |۲۱ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 23, 2024
ইসরাইল বলে কোন দেশ নেই! ইসরাইল একটা অবৈধ সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র !
ইসরাইল বলে কোন দেশ নেই! ইসরাইল একটা অবৈধ সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র !

হাওজা / ইসরাইলী পত্রিকা ইসরাইল হাইয়াওম : আনু্ষ্ঠানিক সরকারী বিবৃতি সমূহ থেকে আরো প্রায় ৫০০ নিহত ইসরাইলীর সন্ধান পাওয়া গেছে এখন পর্যন্ত যাদের শনাক্ত করণ সম্পন্ন হয় নি ।

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

বৃহস্পতিবার ১২-১০-২০২৩

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসরাইলী পত্রিকা ইসরাইল হাইয়াওম : আনু্ষ্ঠানিক সরকারী বিবৃতি সমূহ থেকে আরো প্রায় ৫০০ নিহত ইসরাইলীর সন্ধান পাওয়া গেছে এখন পর্যন্ত যাদের শনাক্ত করণ সম্পন্ন হয় নি । ( আল - আলম টিভি চ্যানেল )

এই সংখ্যার সাথে আগের ঘোষিত নিহত ইসরাইলীদের সংখ্যা ( ১৩০০ ) যোগ করলে নিহত ইসরাইলীদের সংখ্যা এখন দাঁড়ায় ১৮০০ এর অধিক ।

صحيفة اسرائيل هايوم : بيانات رسمية تكشف عن وجود نحو ٥٠٠ قتيل اسرائيلي لم يتم التعرف عليهم حتى الآن . (قناة العالم)

গাযায় এখন ১৪১৭ জন শহীদ এবং ৬২৬৩ জন আহত ।

যুদ্ধকালীন সরকার গঠন সত্ত্বেও যুদ্ধে ব্যর্থতার কারণে ইসরাইলের ভিতরে নেতানিয়াহুর পদত্যাগের জন্য জোরালো দাবি উঠছে। নিহত ইসরাইলীদের সংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়েই চলছে । আর এ কারণে প্রধানমন্ত্রী বেন নেতানিয়াহু এবং ইসরাইলী সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি ইসরাইলী যায়নিস্ট জনগণের আস্থা হ্রাস পেয়েছে অথবা তারা আস্থা হারিয়েছে ।

ইসরাইল পরাজিত, পর্যদুস্ত , তীব্র দ্বিধাবিভক্ত ( যদিও যুদ্ধ কালীন ঐক্যমত্যের সরকার গঠন করে এ দ্বিধাবিভক্তি ঢাকার চেষ্টা করা হচ্ছে ) এবং আস্থাহীন ও তীব্র ভাবে দুশ্চিন্তায় নিপতিত। ইসলামী ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের তীব্র আঘাতে ইসরাইল শকগ্রস্ত , চৈতন্যহারা এবং তীব্র অস্তিত্ব সংকটে আপতিত ।

ইসরাইলের ভবিষ্যত অন্ধকারাচ্ছন্ন। দখলদার হানাদার ইসরাইলী সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীন ফ্রন্টের প্রধান বলেছে : গিলাফ গাযা অঞ্চলের ইহুদী বসতি সমূহের বাসিন্দাগণ এক বড় ধরণের আঘাতের মধ্যে বসবাস করছে এবং ইসরাইলী সেনাবাহিনীর প্রতি তারা আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। ( আল - আলম টিভি চ্যানেল)

قائد الجبهة الداخلية في جيش الاحتلال : المستوطنون في غلاف غزة يعيشون صدمة كبيرة و فقدوا ثقتهم بالجيش . (قناة العالم)

ইসরাইলের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় ও নাজুক বলেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য সকল পশ্চিমা দেশ ইসরাইলের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।

আজ ( বৃহস্পতিবার) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন ইসরাঈলীদের মনোবল চাঙ্গা করতে ইসরাইলের ক্যাবিনেটে উপস্থিত হয়েছিল । গতকাল ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরাইলে এসেছিল । আর খুব দ্রুত ইসরাইলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অত্যাধুনিক অস্ত্র , বোমা , গোলাবারুদ ও মিসাইল সরবরাহ শুরু করেছে অথচ ইসরাইলের কাছে মধ্যপ্রাচ্যের সকল দেশের অস্ত্রসমূহের চেয়ে উন্নত ও অত্যাধুনিক অস্ত্র আগে থেকেই মজুদ রয়েছে । আসলে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের আক্রমণে ইসরাইলের বহু সেনা ছাউনি ও ঘাঁটি এবং অস্ত্র ভাণ্ডার ধ্বংস

হওয়ায় বোমা ,গোলা বারুদ, ক্ষেপণাস্ত্রের ঘাটতির মেটানোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তড়িঘড়ি করে অস্ত্র ও গোলাবারুদের চালান প্রেরণ শুরু করেছে। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা এরফলে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়া ইসরাইলী সেনাবাহিনীর মনোবল চাঙ্গা হবে এবং যুদ্ধ করার শক্তি ফিরে পাবে । তাই ইসরাইলের পাশে মার্কিন উপস্থিতি প্রমাণ করে যে হামাস ও ফিলিস্তিনী মুহাজিদদের আঘাতে ইসরাইল মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে সে দাঁড়াবার শক্তি পাচ্ছে না ।

ইসরাইল বারবার আহ্বান ও সামরিক নির্দেশ প্রদান করেও ভালোভাবে ও পর্যাপ্ত সংখ্যক রিজার্ভ ফোর্স যোগার করতে পারছে না । এমনকি ইসরাইলী বিমান বাহিনীতে পাইলটের ঘাটতিও রয়েছে যে জন্য মার্কিন পাইলট ইসরাইলী পাইলটের সাথে গাযায় বিমান হামলায় অংশগ্রহণ করছে বলে কোনো কোনো সূত্র জানিয়েছে। তূফানুল আকসা এমন এক বড় মার যা ইসরাইল তার ৭৫ বছরের জীবনে কখনো খায় নি । আর কতকাল বাঁচবে ৭৫ বছরের বৃদ্ধ ইসরাইল ? এখন তো মরার সময় হয়েছে এই শয়তান বুড়াটার ।

গাযায় পোড়ামাটির নীতি অবলম্বন করে ইসরাইল অমানবিক ধ্বংসযজ্ঞ , গণহত্যা ও প্রজন্ম হত্যার যে ভয়ানক মারাত্মক যুদ্ধাপরাধ করছে তাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো পুরোপুরি শরীক এবং এক সমান যুদ্ধাপরাধী। এরপর পশ্চিমাদের বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুখে গণতন্ত্র , ন্যায় নীতি , বাক স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের বুলি মোটেও শোভা পায় না। বরং এরা মানবতার শত্রু হিসেবে আবারও নিজেদেরকে চিহ্নিত ও প্রমাণিত করল গাযায় ইসরাইলের নির্বিচারে নৃশংস নিরবচ্ছিন্ন বোমা বর্ষণ ও গণহত্যার মধ্য দিয়ে। আসলে পশ্চিম এশিয়ায় ( মধ্যপ্রাচ্য ) ইসলাম ও মুসলিম বিশ্বের প্রাণকেন্দ্রে ইসরাইল হচ্ছে খুনী লুণ্ঠন কারী তস্কর দস্যু ডাকাত অপরাধী পাশ্চাত্যের অবৈধ জারজ সন্তান ও প্রতিভূ । এই মেকি কৃত্রিম দখলদার সন্ত্রাসী রাষ্ট্রটি বানানো হয়েছে মুসলিম বিশ্বের সম্পদ বিশেষ করে তেল সম্পদ লুণ্ঠন করা এবং মুসলিম বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ।

১৯৪৮ সালে পশ্চিমাদের বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ফ্রান্সের প্রত্যক্ষ সার্বিক মদত ও পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যন্ত সন্ত্রাসী কায়দায় ফিলিস্তীনীদের মেরে কেটে তাদের পৈত্রিক বাড়ী ও ভিটামাটি থেকে অন্যায় ভাবে উচ্ছেদ করে সমগ্র ফিলিস্তীন ভূখণ্ড জবর দখল করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ইহুদীদের এনে ফিলিস্তীনীদের ভিটামাটি ও জায়গা জমিতে আবাসন দিয়ে এই মেকি কৃত্রিম জালেম সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তাই সত্যিকার অর্থে ইসরাইল বলে কোন বৈধ দেশ নেই । এই ভূখণ্ডের নাম ফিলিস্তীন । কেবল ফিলিস্তীন আছে তবে তা অন্যায় ভাবে যায়নিস্ট ইহুদীদের জবরদখল কৃত অধিকৃত । তাই ইসরাইল না বলে আজ আমাদের সবার বলা উচিত অধিকৃত ফিলিস্তিন( Occupied Palestine ফিলিস্তীন আল-মুহ্তাল্লাহ্ فلسطين المحتلّة) ।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .